কোরবানি করার মধ্যে অনেক হিকমত
বিদ্যমান, এখানে কিছু বর্ণনা করা হল, আশা করি ভাল লাগবে।।
১। আল্লাহ্
তায়াল যে, এ সকল পশুকে আমাদের অধীনস্থ করেছেন এবং তা দিয়ে আমাদেরকে নানা উপকার
লাভের সুযোগ দিয়েছেন তাঁর শুকরিয়া আদায় করা হয় কোরবানির মাধ্যমে ।
২। এ সকল পশুর
অধিকার যে একমাত্র আল্লাহ্রই, তার কার্যত স্বীকৃতি দান করা হয় । ( অর্থাৎ
মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ্
তায়ালাই এই বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা ও সর্বময় অধিকারী এবং এই সকল পশু তাঁরই । এটা
তাঁদের বিশ্বাসগত স্বীকৃতি । আর কোরবানি হল তার কার্যত স্বীকৃতি ) ।
৩। কোরবানির
দ্বারা আল্লাহ্ তায়ালার তাওহীদের স্বীকৃতি দেয়া হয়, কাফির মুশরিকরা আল্লাহ্
তায়ালা ব্যতিত অপর দেব দেবিদের নামে পশু উৎসর্গ করে । আর মুসলমানগণ সমস্ত দেব
দেবিদের উপেক্ষা করে একমাত্র আল্লাহর জন্যই কোরবানি করে । সুতরাং এটা হল তাঁদের
তাওহীদ স্বীকৃতিদানের নিদর্শন ।
৪। কোরবানি করার
দ্বারা শ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মাদ সাঃ, হযরত মুসা আঃ, হযরত ঈসা আঃ সহ প্রমুখ নবীগণের
পিতা হযরত ইব্রাহীম আঃ এর সৃতি রক্ষা করা হয় ।
তিনি তার প্রিয়
পুত্র হযরত ইসমাঈলকে (আঃ) কোরবানির করার চেষ্টার মাধ্যমে এটার পরিবর্তন করেন ।
৫। কোরবানি
দ্বারা দুনিয়ার সম্পদ ও পার্থিব জীবনের ভালবাসা ইত্যাদি হতে পরিশুদ্ধি অর্জন করা
হয় । কোরবানি করার দ্বারা বাহ্যত মালের ক্ষতি হয় । আর এই ক্ষতি আল্লাহ্ তায়ালার
সন্তুষ্টির জন্যেই হয়ে থাকে । তাই যাকাতের মতো এর দ্বারাও সম্পদের প্রতি ভালবাসার কিছুটা ঘাটতি হয় ।
৬। কোরবানি শিরক থেকে বেঁচে থাকার একটি কার্যকরি
পদক্ষেপ, কেননা মুশরিকদের মাঝে জানোয়ার
পূজার নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে । ইসলাম কোরবানির বিধানের মাধ্যমে
একত্ববাদের বিশ্বাসকে উজ্বল করণের পাশাপাশি এ শিক্ষাও দিয়েছে যে, এ সকল প্রাণী
পূজার জন্য নয়; বরং এ সব কোরবানি করার দ্বারা স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করা কাম্য
।