আল্লাহ্‌র প্রতি বান্দার আনুগত্যের উপমা


আল্লাহ্‌ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করে, তাঁর সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যেন তাঁর কোন কিছুর অভাব অনুভূত না হয়। উদ্দেশ্য মানুষ যেন আল্লাহ্‌র গোলামী করে।

আল্লাহ্‌ তায়ালা সুরা আদিয়াত-এ আনুগত্যের এক বিরল দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন।  আল্লাহ্‌ তায়ালা দৃষ্টান্ত দিয়ে মানুষকে চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর আর মানব সম্প্রদায়কে এটা বুঝাতে চেয়েছেন যে, একটা পশুর দাসত্ব আর তোমার দাসত্বের তুলনা করে দেখ, তোমার দাসত্ব গভীর? নাকি পশুর?ঘোড়া একটি চতুষ্পদ জন্তু। ঘোড়া সম্পর্কে আল্লাহ্‌ এই সুরায় বিবরণ দিয়েছেন। তিন চারটি গুণ রয়েছে ঘোড়ার, যার দ্বারা ঘোড়া কিভাবে তাঁর মালিকের আনুগত্য করে তাঁর একটি দৃষ্টান্ত আল্লাহ্‌ মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন।

যথা- অর্থঃ শপথ! ঐ ঘোড়ার যা উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ায়।
 হে মানব সকল! তোমরা তো হুঁশ সম্পন্ন প্রাণী, জ্ঞান সম্পন্ন জীব। আর বাকি সকল প্রাণী জ্ঞানহীন। এই জ্ঞানহীন প্রাণীর প্রতি লক্ষ্য কর, লক্ষ্য ঘোড়ার প্রতি, মালিক যখন তাঁর পিঠে আরোহণ করে তাকে ইশারা করে তখন সে ছুটতে থাকে। তোমরা যখন হালচাষ করে থাক গরু দিয়ে, তখন সাথে একটা লাঠি রাখো। ঠিকমত না হাঁটলে মারতে থাকো। কিন্তু ঘোড়াকে এভাবে মারতে হয়না; বরং মালিক তাকে একটুখানি ইঙ্গিত করলেই সে ছুটতে শুরু করে। কতটা দ্রুত! তা আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে উর্ধ্বশ্বাসে বলে।

অর্থঃ অতঃপর খুরের আঘাতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালায়।
ঘোড়া এমনভাবে দৌড়ায় যে, যদি পাহাড়ের উপর দিয়ে, পাঁথরের উপর দিয়ে যেতে হয়, তোঁ এ অভিযগ করেনা যে, এত কঠিন রাস্তায় কেন? বরং সমতল ভূমির উপর দিয়ে মাটি বা ঘাসের উপর দিয়ে যেমন দৌড়ায়, মালিককে খুশি করার জন্য সে পাহার বা পাঁথরের উপর দিয়ে সেভাবেই দৌড়ায়।

অর্থঃ অতঃপর ভোরবেলা আক্রমণ করে।
কোন সময় যদি এমন হয় যে, প্রত্যূষে মালিক যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তাকে লাগাম পরায়, তবে সে এটা বলেনা যে এখনো আমার ঘুম পুরো হয়নি।

অবশেষে এটাই বোঝা উচিৎ যে, কাণ্ডজ্ঞানহীন এক প্রাণী যদি তাঁর মালিকের প্রতি এতটা অনুগত হতে পারে। তবে বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কেন তাঁর মালিকের প্রতি আনুগত্য দেখাতে এত কার্পন্য করে।
আসুন মহান স্রষ্টার প্রতি নিজেকে সপে দেই, এতে ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক সহ সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন!