Faith in Allah الإيمان بالله

Muslims believe that Islam is the original, complete and universal version of a primordial faith that was revealed to Muhammad by God through Gabriel and many times before to prophets including Adam, Noah, Abraham, Moses, and Jesus.

Salah

Salah, called in some languages by the Persian-derived term namāz is one of the Five Pillars in the faith of Islam and an obligatory religious duty for every Muslim.

The Fasting

Fasting is a willing abstinence or reduction from some or all food, drink, or both, for a period of time.

The Hajj

the greater Muslim pilgrimage to Mecca, which takes place in the last month of the year and which all Muslims are expected to make at least once during their lifetime if they can afford to do so. It is one of the Five Pillars of Islam.

The Zakat

payment made annually under Islamic law on certain kinds of property and used for charitable and religious purposes, one of the Five Pillars of Islam.

আল্লাহ্‌র প্রতি বান্দার আনুগত্যের উপমা


আল্লাহ্‌ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করে, তাঁর সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যেন তাঁর কোন কিছুর অভাব অনুভূত না হয়। উদ্দেশ্য মানুষ যেন আল্লাহ্‌র গোলামী করে।

আল্লাহ্‌ তায়ালা সুরা আদিয়াত-এ আনুগত্যের এক বিরল দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন।  আল্লাহ্‌ তায়ালা দৃষ্টান্ত দিয়ে মানুষকে চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর আর মানব সম্প্রদায়কে এটা বুঝাতে চেয়েছেন যে, একটা পশুর দাসত্ব আর তোমার দাসত্বের তুলনা করে দেখ, তোমার দাসত্ব গভীর? নাকি পশুর?ঘোড়া একটি চতুষ্পদ জন্তু। ঘোড়া সম্পর্কে আল্লাহ্‌ এই সুরায় বিবরণ দিয়েছেন। তিন চারটি গুণ রয়েছে ঘোড়ার, যার দ্বারা ঘোড়া কিভাবে তাঁর মালিকের আনুগত্য করে তাঁর একটি দৃষ্টান্ত আল্লাহ্‌ মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন।

যথা- অর্থঃ শপথ! ঐ ঘোড়ার যা উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ায়।
 হে মানব সকল! তোমরা তো হুঁশ সম্পন্ন প্রাণী, জ্ঞান সম্পন্ন জীব। আর বাকি সকল প্রাণী জ্ঞানহীন। এই জ্ঞানহীন প্রাণীর প্রতি লক্ষ্য কর, লক্ষ্য ঘোড়ার প্রতি, মালিক যখন তাঁর পিঠে আরোহণ করে তাকে ইশারা করে তখন সে ছুটতে থাকে। তোমরা যখন হালচাষ করে থাক গরু দিয়ে, তখন সাথে একটা লাঠি রাখো। ঠিকমত না হাঁটলে মারতে থাকো। কিন্তু ঘোড়াকে এভাবে মারতে হয়না; বরং মালিক তাকে একটুখানি ইঙ্গিত করলেই সে ছুটতে শুরু করে। কতটা দ্রুত! তা আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে উর্ধ্বশ্বাসে বলে।

অর্থঃ অতঃপর খুরের আঘাতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালায়।
ঘোড়া এমনভাবে দৌড়ায় যে, যদি পাহাড়ের উপর দিয়ে, পাঁথরের উপর দিয়ে যেতে হয়, তোঁ এ অভিযগ করেনা যে, এত কঠিন রাস্তায় কেন? বরং সমতল ভূমির উপর দিয়ে মাটি বা ঘাসের উপর দিয়ে যেমন দৌড়ায়, মালিককে খুশি করার জন্য সে পাহার বা পাঁথরের উপর দিয়ে সেভাবেই দৌড়ায়।

অর্থঃ অতঃপর ভোরবেলা আক্রমণ করে।
কোন সময় যদি এমন হয় যে, প্রত্যূষে মালিক যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তাকে লাগাম পরায়, তবে সে এটা বলেনা যে এখনো আমার ঘুম পুরো হয়নি।

অবশেষে এটাই বোঝা উচিৎ যে, কাণ্ডজ্ঞানহীন এক প্রাণী যদি তাঁর মালিকের প্রতি এতটা অনুগত হতে পারে। তবে বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কেন তাঁর মালিকের প্রতি আনুগত্য দেখাতে এত কার্পন্য করে।
আসুন মহান স্রষ্টার প্রতি নিজেকে সপে দেই, এতে ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক সহ সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন!

ইংরেজি শিক্ষার ব্যপারে আলেমগণের ফতওয়া ও ইংরেজি শিক্ষায় মুসলমানদের পশ্চাতে পড়ার কারণ!


ইংরেজি শিক্ষায় মুসলমানদের পশ্চাতে পড়ার কারণ একাধিক ৷ তবে প্রথমে আমরা দেখবো এক শ্রেণীর মানুষ আলেমদের ব্যপারে যে মিথ্যাচার করে যে, আলেমগণের ফতওয়ার কারণে মুসলমানরা ইংরেজি শিক্ষায় পিছিয়ে, সে ব্যপারটা ৷ শিক্ষা তথা পাশ্চাত্য শিক্ষার পশ্চাতে পড়ার কারণ হিসেবে তারা যে অপপ্রচার চালায় এর মূলে কোন সত্য নিহিত আছে কিনা ? এব্যপারে ইতিহাস কি বলে

কিন্তু এরপূর্বে পাক-ভারতে ইংরেজি শিক্ষা সম্পর্কীয় কিছু জরুরী বিষয় আলোচনা করবো ৷ এতে মূল বিষয়ে আলোচনা করা সহজ হবে ৷ 

(ক) ১৭৫৭ খৃষ্ঠাব্দ থেকে ঐ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা ভারতবাসীর শিক্ষার জন্য আদৌ কোন মাথা ঘামান নাই ৷ ১৭৯২ খৃস্টাব্দে সর্বপ্রথম মিঃ অলিভার ভারতবাসীর শিক্ষার জন্য বৃটিশ পার্লামেন্টে এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন ৷ কিন্তু কোম্পানির ডাইরেক্টর ও পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধীতার ফলে তা বাতিল হয় ৷ অতপর ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে স্বয়ং কোম্পানির ডাইরেক্টর চার্লস গ্রান্ট শিক্ষার সমর্থনে এক গ্রন্থ রচনা করেন ৷ ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে ভারতবাসী শিক্ষা সম্পর্কে বিবেচনা ও সুপারিশ করার জন্য এক শিক্ষা কমিটি নিয়োজিত হয় ৷ ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে কমিটির সুপারিশ অনুসারে ভারতবাসীর শিক্ষার জন্য বড়লাটের নামে এক আদেশ জারি করা হয় এবং এরজন্য বার্ষিক এক লক্ষ টাকা মনজুর করা হয় ৷ 

(খ) সরকারী অর্থ প্রথমে ভারতবাসীর মধ্যে প্রচলিত প্রাচ্য ভাষা ও প্রাচ্য জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষার জন্যই মনজুর করা হয় ৷ অতপর ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করা হয় এবং তা শুধু ইংরেজি ভাষা ও পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষার জন্যই নির্দিষ্ট করা হয় ৷ 

( গ ) কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ১৮২৩ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত এই অর্থের প্রায় সব এবং ১৮২৩ থেকে ১৮৫৪ পর্যন্ত এর অধিকাংশই মিশনারী স্কুল ও মিশনারী দাতব্য চিকিৎসার নামে খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারার্থেই ব্যয় করা হয় ৷ ১৮৫২ সালে মাদ্রাজের জনসাধারণ মাদ্রাজের গভর্নরের বিরুদ্ধে শিক্ষা খাতের অর্থ মিশনারীর কাজে ব্যয় করছেন বলে পার্লামেন্টে এক অভিযোগ উত্থাপন করে ৷ অতপর ১৮৫৪ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতি ঘোষিত হয় ৷ 

( ঘ ) ১৭৫৭ থেকে ১৮১৩ পর্যন্ত ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করা ছিল একান্তই ঐচ্ছিক ব্যপার ৷ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এর কোন সম্পর্কই ছিলনা ৷ কেউ শখ করে ইংরেজদের সাথে মেলামেশা করার বা ইংরেজদের কথার তর্জমা করার উদ্দেেশ্যই ইংরেজি শিখতেন ৷ ১৮১৪ সাল থেকে ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশ করে এবং ১৮৩৫ সাল থেকে তা আমাদের শিক্ষার মাধ্যম ও বাধ্যতামুলক বিষয় তথা জাতীয় ব্যপার হয়ে দাঁড়ায় ৷

( ঙ ) নানা কারণে (সে সকল কারণ পরে বিবৃত হবে) প্রায় ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলমানদের পুরোপুরিভাবে প্রবেশ লাভ সম্ভবপর হয়নি ৷ ১৮৫৭ সালে স্যার সৈয়দ আহমদ মুসলমানদের শিক্ষার জন্য আলীগড়ে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় ( ১৮৭৮ সালে তা কলেজ ও ১৯২০ সালে তা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়) স্থাপন করেন ৷ অতপর তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের প্রচেষ্টা ও উৎসাহে মুসলমানগণ ইংরেজি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শুরু করে ৷ 

( চ ) ইংরেজি শিক্ষার দুটি দিক আছে ৷ ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও বিষয় শিক্ষা ৷ আলেমগণের কাছে শুধু ভাষা শিক্ষার ফতওয়া চাওয়া হয়েছিল, বিষয় শিক্ষা সম্পর্কে নয় ৷ 

এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর এখন আমরা দেখবো যে,ইংরেজি ভাষা শিক্ষা সম্পর্কে আলেমগণ কি ফতওয়া দিয়েছিলেন

ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের প্রথম যুগে সে সকল আলেম ফতওয়ার ব্যপারে প্রসিদ্ধ ছিলেন, তাদের সকল ফতওয়াই নিয়মিতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং পরে কিতাব আকারে প্রকাশিত হয়েছে ৷ সে সকল ফতওয়ার কিতাব অনুসন্ধান করে আমরা যা পেয়েছি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো ৷ 


( ১ ) শাহ আব্দুল আজীজ দেহলভী রহ এর ফতওয়া ৷ 
( ১৭৪৫-১৮২৩ খ্রীষ্টাব্দ) 
শাহ সাহেব শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী রহ এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ৷ তিনি েতিনি যুগ থেকে আজ পর্যন্ত সকল শ্রেণীর আলেমগণেরই শীর্ষস্থানীয় ৷ ড. হান্টার তাঁকে ' শামছুল হিন্দ ' বা ভারতরবি নামে উল্লেখ করেছেন ৷ কিতাবে তার পূর্ণ ফতওয়ার বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ 
تعلیم انگیریزی یعنی ائین خط وکتابت ولغت واصطلاح اینھا را داستن باکے ندارد، اگر یہ نیت مبح باشد زیراکہ در حدیث وارداست کہ زیدبن ثابت رضی اللہ عنہ بحکم آحضرت صلی اللہ علیہ وسلم روش خط و کتابت یہود و نصاری ولغت آنھار آموختہ بود برائے این عرض کہ اگر برائے آحضرت صلی اللہ علیہ وسلم خط باین لغت ورستم خط می رسد جواب ان تواند نوشت واگر بمجرد خوش امد آنھا واختلاط! بانھا تعلم این لغت نماید باید- باین وسیلہ پیش آنھا تقرب جوید پش البتہ حرمت و کراہت دارد وقدم آنفا ان للالہ حکم ذی الآلہ-( فتاوی عزیزی جلد اول ص ۱۹۵ ) 
ইংরেজি পড়া অর্থাৎ এর অক্ষর চিনা, তা লেখা এবং এর অভিধান ও পরিভাষা জ্ঞাত হওয়াতে কোনও দোষ নেই, যদি শুধু মুবাহ মনে করে শিক্ষা করে ৷ কেননা হাদীস শরীফে আছে, রাসুল সা এর আদেশে সাহাবী যায়দ বিন সাবিত র. ইয়াহুদী ও নাসারাদের ভাষা এবং তা লেখর পদ্ধতি শিক্ষা করেছিলেন - যাতে তিনি রাসুল সা এর কাছে ইয়াহুদী ও নাসারাদের পক্ষ থেকে আগত চিঠির জবাব লিখতে পারেন ৷ 
পক্ষান্তরে যদি কেউ শুধু তাদের ( ইংরেজদের) খোশামোধী করার উদ্দেশে অথবা এর দ্বারা তাদের সাথে মেলামেশা করে তাদের নৈকট্য লাভের উদ্দেশে শিক্ষা করে তাহলে তা শিক্ষা করা হারাম বা মাকরুহ ৷ কারণ পূর্বেই বলা হয়েছে যে, আসল জিনিসের যে হুকুম তার সহায়ক জিনিসেরও একই হুকুম ৷ আর আসল জিনিস অর্থাৎ তাদের খোশামোদী করা ও নৈকট্য লাভ হারাম বা মাকরুহ ৷ 
( ফতওয়ায়ে আজীজী: ১/১৯৫)


মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গুহী রহ এর ফতওয়া ৷ 
(১৮২৮-১৯০৫) 
( ﺳﻮﺍﻝ ( ﺍﻧﮕﺮﯾﺰﯼ ﭘﮍﮬﻨﺎ ﺍﻭﺭ ﭘﮍﮬﺎﻧﺎ ﺩﺭﺳﺖ ﮨﯿﯽ ﯾﺎ ﻧﮩﯿﯽ؟ 
) ﺟﻮﺍﺏ ( ﺍﻧﮕﺮﯾﺰﯼ ﺯﺑﺎﻥ ﺳﮑﮭﻨﺎ ﺩﺭﺳﺖ ﮨﯿﯽ ﯾﮧ ﺷﺮﻁ ﮐﮧ 
ﮐﻮﺋﯽ ﻣﻌﺼﯿﺖ ﮐﺎ ﻣﺮﺗﮑﺐ ﻧﮧ ﮨﻮ ﺍﻭﺭ ﻧﻘﺼﺎﻥ ﺩﯾﻦ ﻣﯿﯽ ﺍﺱ 
ﮐﮯ ﻧﮧ ﺁﻭﮮ - ) ﻓﺘﺎﻭﯼ ﺭﺷﯿﺪﯼ ﺹ۴۶۶
প্রশ্নঃ ইংরেজি শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়া দুরস্ত আছে কিনা?
 
উত্তরঃ ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করা দুরস্ত আছে, যদি শিক্ষার্থী এর দ্বারা কোন গুনাহে লিপ্ত না হয় বা এর দ্বারা শরীয়তের কোন ক্ষতি না হয় ৷ 
(ফতওয়ায়ে রশীদী,পৃ:৪৬৬)


মাওলানা আঃ হাই লক্ষ্নৌবীর ফতওয়া ৷ 
( ১৮৪৭-১৮৮৬) 
( ﺳﻮﺍﻝ ( ﺁﻣﻮﺧﺘﻦ ﻋﻠﻢ ﺍﻧﮕﺮﯾﺰﯼ ﭼﮧ ﺣﮑﻢ ﺩﺍﺭﺩ؟ 
)ﺟﻮﺍﺏ ( ﺗﻌﻠﻢ ﻟﻐﺖ ﺍﻧﮕﺮﯾﺰﯼ ﻭﺁﻣﻮﺧﺘﻦ ﻃﺮﯾﻖ ﺧﻂ 
ﻭﮐﺘﺎﺑﺖ ﺁﮞ ﺍﮔﺮ ﻣﺸﺒﺎﺑﮩﺖ ﻭﻣﺤﺒﺖ ﻭﮦ ﺩﺍﺩ ﺍﻧﮕﺮﯾﺰﯼ ﺑﺎﺷﺪ 
ﻣﻤﻨﻮﻉ ﺍﺳﺖ. ﻭﺍﮔﺮ ﺑﻔﺮﺽ ﺍﻃﻼﻉ ﺑﺮ ﻣﻀﺎﻣﯿﻦ ﮐﻼﻡ 
ﺍﯾﺸﺎﻥ ﯾﺎ ﺧﻮﺍﻧﺪﻥ ﺧﻄﻮﻁ ﺍﯾﺸﺎﻥ ﺑﺎﺷﺪ ﻣﻀﺎﯾﻘﮧ ﻧﺪﺍﺭﺩ
ﻭﺩﺭ ﺣﺪﯾﺚ ﻣﺸﮑﻮﺍﺕ ﺷﺮﯾﻒ ﺍﻭﺭﺩﮦ ﮐﮧ ﺁﻧﺤﻀﺮﺕ ﺳﻠﯽ 
ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﺯﯾﺪﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﺭﺍ ﺗﻌﻠﻢ ﺧﻂ ﯾﮩﻮﺩ ﺍﻣﺮ 
ﻓﺮﻣﻮﺩﻧﺪ ﻭﺯﯾﺪﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﺁﮞ ﺭﺍ ﺑﻌﺮﺻۂ ﻗﺮﯾﺐ ﺍﻣﻮﺧﺘﻨﺪ
) ﺍﺑﻮ ﺣﺴﻨﺎﺕ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﺒﺪﺍﻟﺤﯽ ﻣﺠﻤﻮﻋﮧ ﻓﺘﺎﻭﯼ ﺟﻠﺪ۳ 
۲۰
প্রশ্নঃ ইংরেজি শিক্ষা করা কি অনুচিত

উত্তরঃ ইংরেজি শিক্ষা করা ও এবং তা লেখার পদ্ধতি আয়ত্ব 
করা যদি ইংরেজদের অনুকরণ বা তাদের মুহাব্বত ও ভালোবাসার উদ্দেশে হয়, তাহলে তা নিষিদ্ধ ৷ আর যদি তাদের কথার মর্ম বুঝা বা তাদের পত্রাদি পড়ার উদ্দেশে হয়, তাহলে তাতে কোন ক্ষতি নেই ৷ কেননা রাসুল সা হযরত যায়েদ বিন 
ছাবিত রা কে ইহুদিদের লেখা শেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং হযরত যায়েদ রা অল্প সময়ে তা শিখে ছিলেন ৷ (মুজমুয়ায়ে ফতওয়া, খ-৩ পৃ: ২০) এসকল ফতওয়া দ্বারা বুঝা গেলো যে
যে যুগে আলেমগণ ইংরেজের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিলে ইংরেজি শিক্ষার ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ছিলোসে যুগের প্রসিদ্ধ আলেমগণ সকলে এর স্বপক্ষেই ফতওয়া দিয়েছেন ৷ অবশ্য ইংরেজ আমলের শেষের দিকে (১৯৩৫-১৯৪৩ খ্রীস্টাব্দে) মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ এর বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছিলেন ৷ তা তিনি ইংরেজি শিক্ষার পরিণামের প্রতি লক্ষ্য রেখেই মুসলমান যুবকদেরকে ইংরেজ তথা পাশ্চাত্যের মানসিক গোলামী থেকে মুক্তি লাভে প্রেরণা দান বা মুসলমান জাতিকে আত্মসচেতন করে তোলার জন্যই এমনটা বলেছেন ৷ সুতরাং যারা প্রচার করে যেআলেমগণের ফতওয়ার কারণে মুসলমানগণ ইংরেজি শিক্ষায় পশ্চাতে পড়েছে (বা যারা একথা বলে সুখ পায় যে হুজুররা ইংরেজি শিক্ষার বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়, আবার নিজেরাই শিখে) তাদের মূলে কোন সত্যতা নেই, এমন বলাটা তাদের 
ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতাপ্রসূত বা আলেমগণের প্রতি বিদ্বেষ প্রসূত ধারণা বৈ কিছুই নয়৷ 

এখন প্রশ্ন হলো যে, তাহলে ইংরেজি শিক্ষায় মুসলমানদের পশ্চাতে পড়ার কারণ কি? এর কারণ একাধিক ৷ 
নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করা হলো ৷ 

১. #প্রথম কারণ হলো মুসলমানদের খোদদারী বা আত্মমর্যাদাবোধ
প্রায় সাত শত বছর রাজত্ব করার পর সিংহাসনচ্যুত হওয়া মাত্রই বিনা দ্বিধায় নিজেদের শিক্ষা ও সভ্যতাকে বিসর্জন দিয়ে অন্যদের শিক্ষা ও সভ্যতাকে গ্রহন করবে- এমন মানসিক অধঃপতন তখনও তাদের হয়নি ৷ লিয়াকত আলী খাঁ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বে এমনটাই বলেছিলেন ৷ 

ড. হান্টারও মুসলমানদের দুরাবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এরূপই বলেছেন যে, " বিগত পঁচাত্তর বৎসর হইতে বাংলার সম্ভ্রান্ত পরিবারবর্গ হয় ধরাপৃষ্ঠ হইতে একেবারে মুছে গিয়াছে - না হয় সেই সকল লোকের তুলনায় নিতান্ত নগণ্য, যাহাদেরকে আমাদের সরকার উপরে উঠাইতেছে ৷ তথাপি তাহাদের অবাধ্যতা ও অলসতার কোনরূপ পরিবর্তন সাধিত হয় নাই, হইবে কি করিয়া তাহারা তো নওয়াব ও বিজয়ীদের বংশধর ৷" (হামারে হিন্দুস্তানি মুসলমান: পৃ: ২০) 

আরাক জায়গায় মুসলমানদের জন্য আক্ষেপ করে বলেছেন, ' যদি মুসলমানদের সামান্য বুদ্ধি বিবেচনা থাকিত, তাহা হইলে তাহারা তাহাদের ভাগ্যের উপর সন্তুষ্ট থাকিত এবং পরিবর্তিত অবস্থার সহিত নিজেদের খাপ-খাওয়াইয়া লইত ৷ কিন্তু তাহা কি হয়, একটা পুরাতন বিজয়ী জাতি কি সহজে নিজেদের অতীত গৌরবময় ঐতিহ্যকে ভুলিয়া যাইতে পারে?' ( হামারে হিন্দুস্থানী মুসলমান: পৃ: ২৫৭) 

অতএব মূলকথা হলো এই যে, যারা মনে করে যে, তৎকালিন মুসলমানগণ তাড়াতাড়ি ইংরেজি শিক্ষায় মনোনিবেশ না করে বড়ই বোকামি করেছেন, তারা আর যাইহোকনা কেন মানব প্রকৃতির ব্যপারে একেবারেই অজ্ঞ ৷

কোরবানি করা কেন হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ নয়?


মহান আল্লাহ্‌ তায়ালাকে স্রষ্টা স্বীকারকারী কোন জনগোষ্ঠী একথা বলে না যে, আল্লাহ্‌ জুলুমকারী ; বরং সব ধর্মের মানুষেই এটা স্বীকার করে যে আল্লাহ্‌ পরম করুণাময় ।

আপনি আল্লাহ্‌র কাজ কর্মের দিকে লক্ষ করুন, আর অবলোকন করুন আকাশের শূন্যতা , বাজ, শকুন সহ এজাতিয় অন্যান্য শিকারি পাখিকে,  তারা নিরীহ প্রাণীই ভক্ষণ করে থাকে আহার্য হিসেবে । শস্যদানা বা ফলফ্রুট তারা ভক্ষণ করেনা । আরও দেখুন, আগুন পতঙ্গের সাথে কিরূপ আচরণ করে । পানির দিকে লক্ষ করুন, তাতে কত রকমের হিংস্রপ্রানী বাস করে, বড়বড় জলজপ্রাণীগুলো ছোট ছোট পরানিগুলোকে আহার করে । এছাড়াও কোন কোন মাছ শিকারকে ধরার জন্য উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত ধাওয়া করে থাকে ।

আর লক্ষ করুন জমিনের দিকেও, পিঁপড়াভোজী প্রাণীগুলোর দিকে, কিভাবে সে তাঁর জিহ্বা বের করে ফাঁদ পাতে । তাঁর জিহ্বার মিষ্টতায় যখন পিঁপড়া তাতে প্রবেশ করে, তখন সে তাঁর জিহ্বা বন্ধ করে ফেলে । মাকড়াসা মাছি ভক্ষণ করে। বনের হিংস্রপ্রাণীগুলো নিরীহ প্রাণীগুলোকে আহার করে । কেউ কিন্তু বলেনা যে, না বাঘ হরিণ শিকার করতে পারবেনা । সিংহ মহিষ শিকার করবেনা । এটা খুবই হাস্যকর হবে যে, আমরা তাতে দ্বিমত পোষণ করি ।

জীবন সংহারকারী হযরত আজরাইল আঃ এর দিকে দেখুন,  তিনি প্রতিনিয়ত জিবন সংহার করে চলেছেন, এটাকেও দোষ দেয়ার কোন উপায় নেই ।

এখন আপনি ভেবে দেখুন, যদি এই ভেবে আমরা কোরবানি না করি যে তা হিংস্রাতার বহিঃপ্রকাশ, তবে কি সে প্রাণীগুলো সর্বদা বেঁচে থাকবে? এগুলোর দ্বারা যদি স্রষ্টার অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয় তাতে ক্ষতি কি?

প্রকৃতির বিধান হল, প্রতিটি বস্তুই তাঁর সীমা অতিক্রম করে যেতে চায় । যদি প্রতিটি বটবৃক্ষের বীজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়, আর তা থেকে গাছ অঙ্কুরিত হয়, তবে পৃথিবী বটবৃক্ষ দ্বারা ভরে যাবে । প্রতিটি বস্তুর ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য । কিন্তু স্রষ্টার অপার মহিমা অবলোকন করে দেখুন, কৃতজ্ঞতায় মাথা নুইয়ে আসবে । তিনি প্রতিনিয়ত অসংখ্য বস্তুর পরিসমাপ্তির মাধ্যমে পৃথিবীকে ভারসাম্যপূর্ণ করে রেখেছেন । এর দ্বারা বুঝে আসে যে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট বস্তুর পরিসমাপ্তির মাধ্যমে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করাই আল্লাহ্‌ তায়ালার অভিপ্রায় ।

কোরবানি করার মাঝেও আল্লাহ্‌র আদেশ নিহিত, তিনি এর দ্বারা পৃথিবীতে এমন কোন কল্যাণের ইচ্ছে রাখেন, যা আমাদের বোধগম্য হয়না । অনেক কিছুই তো আমাদের বুঝে আসেনা, তাই বলে আমরা তা থেকে কয়জনেই বা বিরত থাকি?


আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন ! আমীন !!!

ভারতীয় সভ্যতায় নারীর স্থান ও মর্যাদা

ভারতবর্ষে ইসলাম আগমনের পুর্বে নারী জাতির অবস্থা ছিল শোচনীয় নারী পাপ এবং নৈতিক চরিত্র ও আধ্যাত্মিকতা ধ্বংসের মূল উৎস হিসেবে পরিচিত ছিল সুতরাং তাকে সর্বদা শাসনাধীন রাখাই ছিল মূল রীতি  
মনুর মতে তাহাকে দিবারাত্রি অবশ্যই পুরুষের কড়া শাসনে রাখা আবশ্যক কারণ, নারী জন্মগতভাবেই দুশ্চরিত্রা ও লম্পট অতএব, তাহাকে কঠোর শাসনে না রাখিলে সে অবশ্যই বিপথগামী হইবে ( Amer ali : The spirit of Islam, p30 ; Ramesh Chandra Mazumdar : “Ideal and position of Indian Woman in Domestic life;” Great Woman of india (ed. Swamei and mazumdar, p19)

নারীর ব্যপারে উপরিউক্ত ধারণাই সাধারণভাবে প্রচলিত ছিল কিন্তু উচ্চ ও রাজবংশের নারিদেরকে ভিন্ন পুরুষ থেকে দূরে রাখা হত তাঁদের আবাসস্থল সবসময় কড়া পাহারায় রাখা হত কোনভাবেই বাহিরে যাওয়ার অনুমতি তাঁদের ছিলনা কোন কারণে তারা জীবিকা উপর্জনে বাধ্য হলে, তাঁদের যেন সতীত্ব নষ্ট না হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখা হত পরিধিয় বস্ত্র কেনার জন্য তাদেরকে প্রত্যুষে বের হতে হত, যেন কারও চোখে না পরে । তাঁর কেনা বস্ত্র যে কর্মচারী চয়ন করতো, তাকে অন্ধকারেই সে কাজ  সম্পন্ন করতে হত । সে যদি মহিলার মুখের দিকে তাকাইতো বা সে কাজ ছাড়া অন্যদিকে মনোযোগ দিত,  তবে তাকে জরিমানা গুনতে হত । (A.L. Bashan : The Wonder That was India, Fontana 1971, p181. )

সতীদাহ প্রথা প্রাচীন ভারতে সাধারণভাবে প্রচলিত ছিল । এই প্রথানুযায়ী স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর চিতায় আত্মবিসর্জন দিতে হত । এখনো এই প্রথা ভারতের কোন কোন স্থানে প্রচলিত আছে । মাত্র কিছুদিন পুর্বেও ভারতকে আইন প্রণয়ন করে এটা বন্ধ করতে হয়েছে । 

হিন্দু সমাজে নারী অতীব অশুভ প্রাণী বিশেষ । তাই প্রথানুযায়ী নারীকে স্বামীর চিতায় আত্মবিসর্জন দেয়াকেই অপমান ও লাঞ্ছনার জিবন অপেক্ষা শ্রেয় মনে কড়া হত ।
There is no creature more sinful then Woman. Woman is burning fire. She is the sharp edge of the razor. She is verily all these in a body.
নারীর ন্যায় পাপ-পঙ্কিলতাময় প্রাণী আর নেই নারী প্রজ্বলিত অগ্নিস্বরুপ । সে ক্ষুরের ধারালো দিক । এই সমষ্টিই দ্বারা তাঁর দেহ গঠিত । ( professor Indra : statues of Woman in Mahabharat p.16. )
‘Men should not love them’
-পুরুষের জন্য তাকে (নারী) ভালোবাসা উচিৎ নয় ( Ibid, p 17 )

পুত্র  সন্তান আগমনে পরিবারে আনন্দবন্যা বয়ে যেত, আর কন্যা সন্তান এর বিপরীত
The birth of a girl grant if els-where, here grant a boy
হে দেবতা ! কন্যা সন্তান অন্যত্র দিন, আর আমাদেরকে পুত্র সন্তান দিন   ( Ibid, p 21)
এখানে লেখক হিন্দু সমাজের অন্তরের আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেছেন

প্রাচীন হিন্দু সমাজে প্রচলিত অসুর পিতা কর্তৃক কন্যার বিবাহ বিক্রয়স্বরূপ ছিল হিন্দু নারী কোন সম্পত্তির অধিকারী হতনা   সে যুগে বালিকাদেরকে মন্দিরে দেবতাদের হাতে উৎসর্গ করা হত, দেবতারা তাদেরকে স্বীয় স্ত্রীর মত ব্যবহার করত ( Fida Hossain Malik : Wives of the Prophet, P 12-15, )


ইসলাম পুর্ব পৃথিবীর কোন দেশেই নারী তাঁর যথাযত  অধিকার প্রাপ্ত হতনা । কোথাও নারী কোনরকমের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারতোনা ।  

আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন !

গ্রীক সভ্যতায় নারীর স্থান ও মর্যাদা


গ্রীক সভ্যতায় নারী কিরূপ মর্যাদার অধিকারী ছিল তা সক্রেটিসের ভাষায় বেশ ভালভাবে উঠে এসেছে
তিনি বলেনঃ
Woman is the greatest source of chaos and disruption in the world. She is like the deafly Tree which outwardly looks beautiful,  but if sparrows eat it they die without fail.  ( nazhat afza and khurshid ahmad : The Position of Woman in islam, p.9-10, Islamic book publishers, Kuwait 1982.)

নারী জগতে বিশৃঙ্খল ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ট উৎস সে দাফালি বৃক্ষের ন্যায়, যা বাহ্যত খুব সুন্দর, কিন্তু চড়ুই পাখি তা ভক্ষণ করলে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু বরণ করে


গ্রীক সভ্যতায় নারী সম্পর্কে ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে এন্ডারস্কি বলেনঃ
Cure is possible for fire burns and Snake-bite: but it is impossible to arrest woman’s charms. ( nazhat afza and khurshid ahmad : The Position of Woman in islam, p.9-10, Islamic book publishers, Kuwait 1982.)

অগ্নিদগ্ধ রোগী ও সর্পদংশিত ব্যক্তির আরোগ্য সম্ভব কিন্তু কিন্তু নারীর সৌন্দর্যকে এড়িয়ে চলা অসম্ভব ।

প্রাচীন গ্রীসে বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর সম্মতি অসম্মতির কোন মূল্যায়ন হতোনা । পিতামাতার ইচ্ছায় তাকে বিবাহ দেয়া হত । এমনকি যার সঙ্গে বিয়ে তাঁর ব্যপারে অজ্ঞ থাকা অবস্থায়ও পিতামাতার ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করতে হত । সে সমাজে নারিকে সবচে তুচ্ছ ও মূল্যহীন মনে করা হত । এবং সর্বদা তাঁদেরকে তাঁদের পুরুষ আত্মীয়স্বজন, পিতামাতা এবং চাচা মামাদের ইচ্ছানুযায় চলতে হত ।


গ্রীক সভ্যতার গৌরবোজ্জ্বল দিনে সতীসাধ্বী নারী মহামূল্যবান রুপে পরিগণিত ছিল । সে সময় তারা পর্দা মেনে চলতো । পরবর্তীতে বারবনিতালয় গ্রিসের মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবেন্দুতে পরিণত হয় । ফলে জাতিয় সিদ্ধান্তেও পতিতাদের প্রভাব ছিল লক্ষণীয় । সে সময় পতিতালয়গুলো একরকম উপসানলয়ের মত হয়ে গিয়েছিল । কারণ, তাঁদের কাছে পতিতারা ছিল প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবি এফ্রোডাইটের প্রতিনিধি । সে তাঁর স্বামীকে ত্যাগ করে অপর তিন দেবতার শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিল  ( Said Abdullah Seif Al-Hatimy : Woman in Islam, p2-3, Islamic publication Ltd. Lahore, Pakistan, Oct. 1979

জীবনের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি


সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই মহান আল্লাহ্মানব সৃষ্টি করেছেন এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্তায়ালা বলেনঃ

অর্থাৎঃ মহিমান্বিত তিনি, যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী, তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, যিনি মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরিক্ষা করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন-কে তোমাদের মাধ্যে কর্মে উত্তম । (আল কুরআন ৬৭,১-২)

অর্থাৎঃ তাঁর নিকট তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন, আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য । সৃষ্টিকে তিনি অস্তিত্বে আনেন । অতঃপর তার পুনরাবর্তন ঘতান-যারা বিশ্বাসী ও পুণ্যশীল, তাদেরকে ন্যায়বিচারের সাথে কর্মফল প্রদানের জন্য । আর যারা অবিশ্বাসী, তারা অবিশ্বাস করার দরুন তাঁদের জন্য রয়েছে অত্যুষ্ণ পানীয় ও মর্মন্তুদ শাস্তি । (আল কুরান-১০,৪)

অর্থাৎঃ যখন তাঁর আরশ পানির উপর ছিল, তখন তিনিই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি করেন, তোমাদের কে আচরণে শ্রেষ্ঠ, তা পরিক্ষা করার জন্য (আল কুরান-১১,৭)

উপরিউক্ত আয়াতসমূহ প্রমাণ করে যে, আত্মিক উন্নতির চরম শিখরে উপনীত হওয়ার সুযোগসুবিধা দিয়েই আল্লাহ্‌ তায়ালা মানব সৃষ্টি করেছেন এবং আত্মিক উন্নতিই তাঁর পরম কাম্য । সে নির্জনবাস করবেনা; বরং আত্মিয়-স্বজন, স্বজাতি ও বৃহতর মানব সমাজে বাস করবে । নিছক ব্যক্তিগত কর্তব্য ছাড়াও আপনজন, বন্ধু-বান্ধব এবং সমগ্র মানব সমাজের প্রতি তাঁর উপর অর্পিত কর্তব্য তাকে সবসময় পরীক্ষার সম্মুখিন করে রাখবে । এই কর্তব্য সম্পাদনের দ্বারাই তাকে মানবজীবনের পরম ও চরম লক্ষ্য, আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করতে হবে ।  এই মানবীয় কর্তব্যের ব্যপারে কে কতটুকু সাড়া দিতে পারলো, এটা দ্বারাই ব্যক্তির জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা নিরূপিত হবে ।

উল্লেখিত আয়াতসমূহ থেকে পরিষ্কারভাবে বুঝে আসে যে, যান্ত্রিক উৎকর্ষ, শিল্প-বানিজ্যে উন্নতি বস্তুসম্ভারের উৎপাদনশীলতা দ্বারা ইসলাম কোন জাতির উন্নতি বা অবনতি বিচার করে না । কোন জাতি এসকল বিষয়ে চরম উন্নতি লাভ করেও আত্মিক ক্ষেত্রে পরম দেউলিয়া থেকে যেতে পারে । অপরদিকে জাগতিক ক্ষেত্রে অনুন্নত জাতিও মানবীয় গুণরাজিতে বিভূষিত হতে পারে । ইসলামে আত্মাকে বাদ দিয়ে জাগতিক উন্নতি একেবারেই মূল্যহীন ।


পার্থিব উন্নতি ও অগ্রগতিকে ইসলাম নিন্দনীয় বলে না; বরং একে উৎসাহিত করে; তবে পরকালকে বিসর্জন দিয়ে নয় । মানবীয় সুসম্পর্ক অটুট ও শান্তিপুর্ণ রেখে দুনিয়া-আখেরাতের কল্যানলাভের পথই ইসলাম প্রদর্শন করে থাকে ।